মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মধ্যবাউশিয়া স্ট্যান্ডে দৈনিক যায়যায়দিন ও এশিয়ান টিভির উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক কামরুল ইসলাম (৪৯) ওপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকাল সোয়া ৫ টার দিকে এ হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। আহত সাংবাদিক কামরুল ইসলাম গজারিয়া উপজেলার মধ্যবাউশিয়া গ্রামের চুনু মিয়ার ছেলে। তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
সাংবাদিক কামরুল ইসলাম জানান, মধ্যবাউশিয়া বাসস্ট্যান্ডে বিকেলে সিএনজি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ১০-১২ জন সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি রামদা লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। লোহার রড, কাঠের ডাসা ও লাঠি দিয়ে তার শরীর ও পায়ে বেধড়ক আঘাত করা হয়, এতে তার বাম পায়ের হাড় ভেঙে গুরুতর জখম হয়।
কামরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অর্থ যোগান ও হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক মামলার আসামি হারুন শিকদারের নেতৃত্বে হামলা চালায়। শাওন (২৫), আরমান (২৫), আলীফ (২৪), জসিম সরকার, সোলাইমান, বাদল ও আমিরুল সহ স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা সরাসরি অংশ নেয়। এর আগেও একই গ্রুপ তার ও বড় ভাই সাংবাদিক জসিমের ওপর হামলা চালায়, যার মামলা বর্তমানে চলমান।
আহত কামরুল আরও জানান, হামলার সময় হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে বলে— হারুন শিকদারের বিরুদ্ধে কেন ফেসবুকে পোস্ট দিস। আবার পোস্ট দিলে লাশ গুম করে ফেলবো। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে ভয়ে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার (ওসি) আনোয়ার আলম জানান, ঘটনা ঘটনার পরপরই অবগত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।