1. munshiganjsangbad.net@gmail.com : মুন্সিগঞ্জ সংবাদ :
  2. kaium07bics@gmail.com : madmin :
September 21, 2025, 9:46 am
শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের জন্য ভূমি সচেতনতামূলক বই ‘ভূমিকথা’ বিতরণ বিচারপ্রার্থীদের সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আদালত পরিদর্শনে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লৌহজংয়ে আইসক্রিম ফ্যাক্টরিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত শ্রীনগরে কার্টনের ভেতর নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার মুন্সীগঞ্জে নবাগত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির মাহমুদ চৌধুরীর আদালতে যোগদান টঙ্গীবাড়িতে এক প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবের পদ পূর্ণ বহালের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল  মুন্সীগঞ্জে দু’ই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৬ টঙ্গীবাড়িতে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা

‘করোনা চলে গেলে প্রতিদিনই ঈদ করবো আমরা’

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, মে ২৪, ২০২০,
  • 179 Time View

দুই বছর আগে শাওয়াল মাসের (ঈদের) চাঁদ দেখার কথা স্পষ্ট মনে আছে রাইয়ান তাহমীদের। বাবার হাত ধরে বাড়ির সব ভাই-বোনদের সাথে স্কুল মাঠে গিয়ে চাঁদ দেখেছিল সে। চাঁদ দেখা উপলক্ষে মাঠে জড়ো হওয়া পাড়ার ছেলেদের সাথে কতই না হৈ-হৈল্লোর হয়েছিল সেদিন। অবশ্য গত বছর সেই মজা কারোরই হয়নি। গত বছর শওয়ালের চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে রাত ১২ টার পরে ঘোষণা এসেছিল ঈদুল ফিতরের।

তবে এ বছর ভিন্ন এক পরিবেশে ঈদের চাঁদ দেখেছে তাহমীদ। মাঠে যাওয়া নিষেধ। তাই বাবা আর ভাই-বোনের সাথে বাসার ছাদে গিয়েই চাঁদ দেখতে হলো তাকে। করোনা নামের এক মরণব্যাধির কারণে তাহমীদের ঈদের সব আনন্দই যেন মাটি হতে চলছে। আগেই বাবার ঘোষণা, দেশ করোনা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বাইরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার বায়না ধরা যাবে না। বাসাতেই থাকতে হবে সবাইকে। তাই এবার ঈদে তাহমীদের ছোট্ট মনেও অব্যক্ত জমানো অনেক দুঃখ আর কষ্ট। ঈদের চাঁদ দেখে ঘরে ফিরে বাবাকে সে আনমনেই প্রশ্ন করে ‘বাবা করোনা কবে যাবে? ঈদের দিনেও কি আমরা বেড়াতে যেতে পারবো না’? তবে বাবার কাছে তার একটিই বায়না ‘করোনা চলে গেলে প্রতিদিনই ঈদ করবে আমরা’।

দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময়ে ধরে ঘরে বন্দী থাকার এই কষ্ট শুধু পাঁচ বছরের বয়সী রাইয়ান তাহমীদের একার নয়, করোনা যেন প্রত্যেকটি নাগরিকেরই দৈনন্দিন রুটিন ও পরিকল্পনাতেই বাঁধ সেধেছে। অনেকের কাজ নেই। ঘরে বসেই দিন কাটছে তাদের। এই অভাব আর অনটনের মধ্যে ঈদের বা আনন্দের কোনো বার্তা তাদের ঘরে পৌঁছেনি।

তাহমীদসহ তার ভাইবোনেরও অনেক পরিকল্পনা ছিল ঈদের দিনে ঈদগাহে গিয়ে অনেক মজা করবে। নানা, নানু,দাদী আর মামাদের ঈদ সম্মানির টাকায় বেহিসেবি খরচের অনেক পরিকল্পনাও ছিল তাদের। কিন্তু এবার সেই পরিকল্পনা আর বুদ্ধিতেও যেন ছেদ পড়েছে। করোনায় যেন সবকিছু উলোটপালট হয়ে গেছে তাদের। বাসায় বসে টিভিতেও আর মনোযোগ নেই তাদের। খেলা আর গল্পগুলো যেন গত দুই মাসে পুরনো আর সেকেলে হয়ে গেছে। তাই ঈদের দিনে মায়ের হাতে নতুন নতুন খাবার আইটেমের প্রতিই শেষ ভরসা তাদের। তারপরেও তাদের কল্পনার ক্যানভাসে এখনো ভাসছে করোনা অচিরেই চলে যাবে। আবারো বাইরে খেলতে যাবে, বেড়াতে যাবে তারা। নতুনভাবে সাজানো হবে প্রতিদিনের রুটিন। তখন হয়তো ঈদের আনন্দ শুধু একদিন নয়, তাহমীদদের মতো লাখো কোটি শিশুর জীবনে প্রতিদিনই আসবে ঈদের আনন্দ। তাহমীদের কল্পনার সেই প্রতিদিনের ঈদের আনন্দের প্রত্যাশায় প্রিয় বাংলাদেশ, গোটা বিশ্ব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

আজকের পত্রিকা

© All rights reserved © 2025