বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ পোস্টমর্টেম শেষে শনিবার(২৩আগস্ট) দুপুরে পরিবারের কাছে লাশ হস্থান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ সনাক্ত করেছে তার ভাই ও ছেলে। তার ছোট ভাই চীর রঞ্জন সরকার বলেন, “আমরা আসলে কোন কিছু বলতে পারছি না কিভাবে কি হলো। সে মোটামুটি স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলো। পুলিশ আমাদেরকে একটি মরদেহের ছবি পাঠায়। সেটা দেখে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারনা করি। পরে মুন্সীগঞ্জে তার মরদেহ দেখে নিশ্চিত হই।”
সে আরও বলেন, স্বাভাবিকভাবেই সে বাড়ি থেকে বের হয়। বউদি তাকে দুপুরে ফোন দিয়ে যখন না পায় তখন আমরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। রমনা থানায় জিডিও করা হয়।”
তিনি বলেন, এটা আত্মহত্যা, না খুন, নাকি পরিকল্পিত অন্যকোন কিছু তা আমরা জানিনা। শুধু বলবো এমন পরিনতি যেনো আর কারো না হয়।”
তিনি আরও বলেন, “ওর নাতির সাথে খুব কথা বলতো।”
তার ছেলে ঋত সরকার জানান, “বাসা থেকে বের হওয়ার আগে বাবা স্নান করে নাসতা করে বের হয়। খোলা চিঠির ব্যাপারে আমরা কিছু জানিনা। আজ এটার ব্যাপারে জানতে পেরেছি। বাবার সাথে কারো কোনো সমস্যা ছিলো কিনা তা জানিনা।”
নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চরবলাকি এলাকায় মেঘনা নদীতে শুক্রবার বেলা ২ টার দিকে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জের অঞ্চলের কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. সালেহ আহমেদ পাঠান বলেন, আগামীকাল শনিবার তার মরদেহ ময়নাতদন্তের পর ঢাকায় নেওয়া হবে।
এদিকে ঢাকায় নেয়ার পরে তাকে পঞ্চগড়ে সমাহিত করার জন্য নেয়া হবে বলে তার ছোটভাই তীর রঞ্জন সরকার জানিয়েছেন।
বিভুরঞ্জন সরকার দৈনিক আজকের পত্রিকায় সিনিয়র সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়া, বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিনি নিয়মিত কলাম লিখতেন। তিনি সপরিবারে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নগর কুমারী গ্রামে। তার এক মেয়ে, এক ছেলে। মেয়ে ডাক্তার, সরকারি চাকুরি করে। ছেলে বুয়েট থেকে পাস করা প্রকৌশলী।