1. munshiganjsangbad.net@gmail.com : মুন্সিগঞ্জ সংবাদ :
  2. kaium07bics@gmail.com : madmin :
September 19, 2025, 5:41 am
শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের জন্য ভূমি সচেতনতামূলক বই ‘ভূমিকথা’ বিতরণ বিচারপ্রার্থীদের সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আদালত পরিদর্শনে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লৌহজংয়ে আইসক্রিম ফ্যাক্টরিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত শ্রীনগরে কার্টনের ভেতর নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার মুন্সীগঞ্জে নবাগত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির মাহমুদ চৌধুরীর আদালতে যোগদান টঙ্গীবাড়িতে এক প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবের পদ পূর্ণ বহালের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল  মুন্সীগঞ্জে দু’ই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৬ টঙ্গীবাড়িতে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা

কৃষি গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার পক্ষে বাকৃবির অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৪,
  • 228 Time View

কাগজ প্রতিবেদক, বাকৃবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যোগে ২০১৯ সালে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে গুচ্ছ পদ্ধতির যাত্রা শুরু হয়। পরীক্ষার্থীদের সুবিধা দিতে গুচ্ছ পদ্ধতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, পরবর্তীতে এতে সুবিধার চেয়ে বিতর্ক এবং সমালোচনা বেশি হয়েছে। পাঁচটি ভর্তি পরীক্ষার অভিজ্ঞতার আলোকে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসার পক্ষে মত দিয়েছেন বাকৃবির অধিকাংশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও আশার মুখ দেখেনি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বাকৃবির স্বকীয়তা রক্ষায় পূর্বের মতো আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে। এদিকে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলেও গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকৃবি ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী।
বিষয়টি নিয়ে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে নই। আমাদের অবশ্যই কৃষি গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসা উচিত। এই পদ্ধতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মানদণ্ড ও স্বকীয়তা বজায় রাখতে বাধা সৃষ্টি করছে। আমরা আমাদের মান অনুযায়ী মেধাবী শিক্ষার্থী বাছাই করতে চাই, যা গুচ্ছ পদ্ধতিতে সম্ভব হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. পারভেজ আনোয়ার এ বিষয়ে বলেন, বাকৃবির ভর্তি পরীক্ষা আলাদা হওয়া উচিত। তিনি বলেন, শুরু থেকেই আমাদের ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ ও অনন্য ছিল। আমরা শুধুমাত্র সরকারি মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতি কোটাই মেনে চলেছি, অন্য কোনো কোটা কখনো মানিনি। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আমাদের মান বজায় রাখা কঠিন, ফলে প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে। আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নিলে মেধার সর্বোচ্চ মূল্যায়ন সম্ভব হবে।
বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলজার হোসেন বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকা উচিত, কারণ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ভিন্ন। তিনি বলেন, এক মেধাতালিকায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাছাইয়ের পদ্ধতি আমি সমর্থন করি না। গুচ্ছ পদ্ধতির ফলে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি ভর্তি হচ্ছে, ফলে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান কমে যাচ্ছে এবং ভালো শিক্ষার্থীরা মান হারাচ্ছে।
উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মো. বকুল আলী বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তার রং হারাচ্ছে। একক ভর্তি পরীক্ষায় কখনও কোনো ভুল বা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অন্যান্য কেন্দ্রের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বারবার। একসময় শীর্ষস্থানীয় মেধাবীরা বাকৃবিতে ভর্তি হতে পারত, কিন্তু গুচ্ছ পদ্ধতিতে কম জিপিএধারীরাও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে, যা বাকৃবির স্বকীয়তা নষ্ট করছে।
ভেটেরিনারি অনুষদের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ওমর ফারুক বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির কারণে সেশনজট তৈরি হচ্ছে। গুচ্ছ পরীক্ষা সবার শেষে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ছে। শুধুমাত্র যাতায়াতের সুবিধার কথা বিবেচনা করে গুচ্ছ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তেমন ফলপ্রসূ হয়নি।
বাকৃবি ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাদের ডিন কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আমরা কৃষি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করছে। আমরা আগে থেকেই আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা করতাম, যা আমাদের জন্য সুবিধাজনক ছিল। গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে আমাদের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বসবে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

আজকের পত্রিকা

© All rights reserved © 2025