মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের ওপর নৌ ডাকাত দলের গুলি ও ককটেল হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। সোমবার বিকেলের ওই ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটা থেকে পৌনে ছয়টা পর্যন্ত অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পসংলগ্ন মেঘনা নদীতে ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়। ডাকাতরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। আধাঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে এ গোলাগুলিতে ডাকাত দলের সদস্যরা শতাধিক গুলি ছোড়ে, পুলিশও অন্তত ২০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে ডাকাতরা ট্রলার নিয়ে মতলবের দিকে সরে যায়।
ঘটনার পর থেকে জামালপুর ও শিমুলিয়া এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ এবং সাধারণ মানুষ ঘরে অবস্থান করছেন। স্থানীয়রা জানান, পুলিশের ওপর হামলা চালানোর মতো দুর্ধর্ষ ডাকাতদের কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
দীর্ঘদিন ধরে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনী ওই এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন, নৌযানে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে বহু পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের পর তারা গ্রামে ফিরতে শুরু করেন। কিন্তু ডাকাতরা হামলা চালিয়ে ক্যাম্প অপসারণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে হামলার পর থেকে গুয়াগাছিয়ার দুর্গম চরাঞ্চলে র্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের যৌথবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানে নদীপথে টহল জোরদার করা হয়েছে এবং ডাকাতদের আস্তানায় একাধিক তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন, হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি জানান, “কোনো ডাকাত–সন্ত্রাসীকে পুলিশ ভয় পায় না। গুয়াগাছিয়ার সব ডাকাতকে নির্মূল করা হবে। সাধারণ মানুষের ভয় পাওয়ার কিছু নেই, পুলিশ তাদের সঙ্গে আছে।”