মুন্সীগঞ্জ সদরের চরাঞ্চল চরকেওয়ারে দুইটি সিগারেট বাকি না দেয়োর জেরে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়ে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মাহিম নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নাঈমকেআটক করেছে পুলিশ ।
নিহতের খালাতো ভাই রাকিব হোসেন জানান, শুক্রবার(৩০ মে) দুপুর দেড়টার দিকে মাহিম ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। নিহত মাহিম সরকার (২০) বাঘাইকান্দি এলাকার সবুজ সরকারের ছেলে। আটককৃত নাঈম সরকার (২৬) একই এলাকার মৃত রহমান শিকদারের ছেলে।
এদিকে এ ঘটনায় গত বুধবার( ২৮ মে) অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত নাঈম সরকারকে (২৬) বাঘাইকান্দি এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। ওইদিনই এ ঘটনায় সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন মাহিমের বাবা সবুজ সরকার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত (২৮ মে) ৩টার দিকে নিজের মুদি দোকানের ভেতর ঘুমিয়ে ছিলো মাহিম। এসময় স্থানীয় নাঈম সরকার দুইটি সিগারেট নিয়ে টাকা পরিশোধ না করে চলে যেতে চাইলে মাহিম বাঁধা দেয়। এসময় মাহিমকে গালিগালাজ করে টাকা না দিয়ে চলে যায় নাঈম। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফোন দিয়ে মাহিমকে আবারও গালিগালাজ করে এবং তার বাবাকে নিয়ে বাড়িতে যেতে বলে নাঈম। পরে দুপুর ৩টার দিকে বাবাকে নিয়ে নাঈমের বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তায় চাকু নিয়ে হামলা করে নাঈম। এসময় বুকের ডান পাশে গুরুতর জখম হয় মাহিমের। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার মাহিমের মৃত্যু হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘মাহিমকে ছুরিকাঘাতের পরদিনই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নাঈমকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে সদর থানায় বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন মাহিমের বাবা সবুজ সরকার। মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’