মুুন্সীগঞ্জে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ২০ জন। কোনো ধরনের তদবির বা ঘুষ ছাড়াই, শুধুমাত্র শারীরিক সক্ষমতা ও মেধার ভিত্তিতে মাত্র ১২০ টাকা খরচে মুন্সীগঞ্জের ২০ জন চাকরিপ্রার্থী পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার(২২ মে) সকালে মৌখিক পরীক্ষা শেষে মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার নবনিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
এর আগে, মুন্সীগঞ্জ পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ২০ টি পদের বিপরীতে ১৩মে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪৬ জন প্রার্থী। তাদের মধ্য থেকে ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ২৩ জন। এর মধ্যে একজনের সেনাবাহিনীতে চাকুরী হয়ে গেছে। সে জন্য একজন অনুপস্থিত ছিল। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে ২২ জনকে প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়, যার মধ্যে ২০ জন নিয়োগপ্রাপ্ত এবং ২জন অপেক্ষমাণ।
চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের ২০জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ এবং ২জন নারী। জানা গেছে, এই ২০ জনের অধিকাংশই দিনমজুর ও অটোচালকের সন্তান।
ফলাফল ঘোষণার সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ডিএসবি) ইসরাত জাহান ও নরসিংদি জেলার সহকারী পুলিশ সুপার ( রায়পুরা সার্কেল) বায়েজিদ বিন মনসুর, আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন এবং মুুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
নিয়োগপ্রাপ্তদের অভিনন্দন ও করণীয় ব্রিফিংএ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, “আপনারা শারীরিক ও মেধার যোগ্যতার ভিত্তিতে আজ এই সম্মানজনক স্থানে এসেছেন। সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবেন। এভাবেই গড়ে উঠবে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ। “ নিয়োগপ্রাপ্তদের পুলিশ সুপার ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় কয়েকজন নবীন পুলিশ সদস্য আনন্দে আপ্লুত হয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন।