ঢাকাসোমবার , ১৯ মে ২০২৫
  1. আন্তর্জাতিক
  2. এক্সক্লুসিভ সংবাদ
  3. খেলাধূলা
  4. গ্যালারি
  5. জাতীয়
  6. জেলার সংবাদ
  7. ফিচার
  8. মতামত
  9. রাজনীতি
  10. শিক্ষা
  11. সাহিত্য ও সংস্কৃতি

ইছামতী নদীর তীরে বেদেদের জীবন সংগ্রাম

ফয়েজ আহমেদ
মে ১৯, ২০২৫ ১:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো বেদে সম্প্রদায়। এরা বাঙালির অতি পরিচিত নৃ-গোষ্ঠী।সাধারণত ওরা বাদিয়া বা বাইদ্যা নামে পরিচিত।যাযাবর জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেদে সম্প্রদায় অন্যতম। প্রান্তিক এই সম্প্রদায়ের সিংহভাগ নারী-পুরুষ ভাসমান জিবন যাপনে অভ্যস্ত। তাদের একটা অংশো ডাঙায় স্হানীয় ভাবে বসাবস করলেও বড় অংশো নৌকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় বসাবস করে আসছে।স্হানীয় ভাবে এরা বাইদ্যা নামে পরিচিত। এদের জিবন কাহিনি অনেক কষ্টের । এদের নৌকায় দিন নৌকায় রাত নৌকা রান্না করা নৌকায় খাওয়া, নৌকায় সন্তাত জন্ম দেয়া থেকে শুরু করে নৌকায় এদে সুখ দুঃখ আনন্দ। বেদেদের জিবন অন্য সব মানুষদের থেকে আলাদা।সাদা মাটা জিবন যাপন এদের। জিবনের সাথে যুদ্ব করে প্রতিটি দিন তারা কাটায়। একটু সুখের জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কঠোর পরিশ্রম করে। তাবিজ কবজ -চুরি বিক্রি জাদু টোনা আর সাপ খেলা দেখিয়ে তাদের জিবন সংগ্রাম। তাদের জীবনটা খুদা দরিদ্র এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার আচ্ছন্ন।ঝড় বৃষ্টির সময় তাদের কষ্ট আরো বেড়ে যায়। তাদের খবর রাখার কেউ থাকে না।এতো দুঃখ কষ্টের মধ্যে বেদে মেয়েদের জিবন যুদ্বের এক মজার গল্প আছে। তাদের স্বামিদের আচলে বেধে রাখার রহস্য। স্বামিদের বশে রাখতে বেদে মেয়েরা তার স্বামির শরিলে সাপের চর্বি দিয়ে তৈরি তেল ব্যবহার করে। তাদের বিশ্বাস এতে তার স্বামিরা তাদের ছেড়ে অন্য কোন মেয়ের কাছে যাবে না।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজদিখান উপজেলায় মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার ডাক বাংলোর পাশ্ববর্তী ইছামতী নদীর তীরে ঘেষে বেদে পল্লী অবস্থিত। সব মিলিয়ে ৫০তেকে ৬০ পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা এই পল্লিতে বসাবস করে ৪ শতাধিক বেদে।জানাযায় তারা বহু বছর ধরে এই এলাকায় বসাবস করে আসছে। তারা জাতীয় নির্বাচন সহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করে আসছে । আর তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোন নাগরিক সুবিধা।বেদেপল্লির বেস কয়জন সদস্য জানান, আমাদের এই পল্লিতে চারশত মানুষের বসাবস। আমরা মালখানগর ইউনিয়নের ভোটার। আমাদের মধ্যে ২৫০ জন এই এলাকার নাগরিক,তবে আমাদের ভাগ্যে মিলেনা কোন নাগরিক সুবিধা।তাই বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের আবেদন আমাদের বসাবসের জন্য একটি জায়গার ব্যবস্হা করে দিলে আমাদের নৌকার এই কষ্টের জিবন থেকে ডাঙায় বসবাস করতে পারব।সমাজের মানুষের সাথে চলতে পারবো। মানুষ হিসেবে অধিকার পাবো। তাই সমাজের অঙ্গ হিসাবে একটি জনগোষ্ঠী কে বাদ দিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।তাদের কে সমাজের সাধারণ মানুষদের মতো সাধারণ জিবন যাপন করার সযুগ করে দিতে হবে। তাদের আর্থিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য পেশা পরিবর্তনের সুযোগ করে দিতে পারলে এই জিবন থেকে মুক্তি পেতে পারে বেদে সম্প্রদায়।বেদেরা হারিয়ে গেলে বাংলাদেশের একটি পুরনো ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির একটি অংশো হারয়ে যাবে। কারন তারা যাযাবর একটি উপজাতি হলেও কোন ভাবে মুল সাংস্কৃতি থেকে বিছিন্ন নয়।