মুন্সীগঞ্জে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলা সাংস্কৃতিক জোটের অভিষেক ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং নবগঠিত জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের পরিচয় তুলে ধরা হয়। জোটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম আশরাফ উজ্জ্বল সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সংগীত, চিত্রকলা, চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখায় জেলার পাঁচ গুণীজনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। বক্তারা বলেন, এ ধরনের স্বীকৃতি শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের কাজে আরও উৎসাহ যোগায়। সংস্কৃতি একটি জাতির আত্মা—এই আত্মাকে বাঁচিয়ে রাখতে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুন নাহার। জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এডভোকেট মাহবুব উল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল হামিদ মোল্লা ও জেলা কালচারাল অফিসার মো. এরশাদ হাসান।
এবারের অভিষেক অনুষ্ঠানে তিন গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা জানানো হয়—প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কাজী ফেরদৌস ওয়াহিদ, জনপ্রিয় অভিনেতা বাবুল আহমেদ ও দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী আবুল খায়ের। মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয় প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও প্রযোজক চাষী নজরুল ইসলাম এবং কিংবদন্তি সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীকে। চাষী নজরুল ইসলামের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন সংবাদকর্মী মঈনউদ্দীন আহমদ সুমন এবং আলাউদ্দিন আলীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম আশরাফ খান উজ্জ্বল সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পীদের জীবনী তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহ-সভাপতি হোসনে আরা ঝুমুর আক্তার ও অনুষ্ঠান সম্পাদক মাশফিক শিহাব।
দেশাত্মবোধক গান, লোকসংগীত, বাঁশি, নৃত্য ও ম্যাজিক পরিবেশনায় পুরো অডিটোরিয়াম উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।